পোস্টগুলি

সনাতন সৃষ্টিতত্ত্ব

ছবি
  সনাতন সৃষ্টিতত্ত্ব পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘুরছে – বাইবেল বিরোধি এই সত্য কথা বলার অপরাধে চার্চ গ্যালিলিওকে অভিযুক্ত করেছিল ‘ধর্মদ্রোহিতার’ অভিযোগে। ১৬৩৩ সালে। গ্যালিলিও তখন প্রায় অন্ধ, বয়সের ভারে ন্যুব্জ। অসুস্থ ও বৃদ্ধ বিজ্ঞানীকে জোর করে ফ্লোরেন্স থেকে রোমে নিয়ে যাওয়া হয়, হাটু ভেঙ্গে সবার সামনে জোড় হাতে ক্ষমা প্রার্থনা করিয়ে বলতে বাধ্য করা হয় এতদিন গ্যালিলিও যা প্রচার করেছিলেন তা ধর্মবিরোধী, ভুল ও মিথ্যা। ঘটনাটি মাত্র ৩৫০ বছর আগের। "পৃথিবী সমতল", এই তত্ব যেখানে খুব বেশি পুরনো নয়, সনাতন শাস্ত্রে এরও হাজার বছর আগে বলা হয়েছে, পৃথিবী ডিম্বাকার। কারণ এটি 'ব্রহ্মান্ড'। ================================= 🕉️ "যদিও পৃথিবী হস্ত পদ হীন তথাপি ইহা চলিতেছে(গতিশীল)। অবশ্য জ্ঞাতব্য পরমাণুর শক্তি দ্বারা সুর্য্যের চারইদিকে ইহা প্রদক্ষিণ করিতেছে।" (ঋগ্বেদ ১০/২২/১৪) 🕉️ "সূর্য কখনও অস্ত যায় না বা উত্থিত হয় না।  লোকেরা যখন মনে করে যে সূর্য অস্ত যাচ্ছে তখন তা হয় না।  কারণ দিনের শেষে পৌঁছে যাওয়ার পরে এটি দুটি বিপরীত প্রভাব তৈরি করে, সূর্যের নীচে যা থাকে তার জন্য রাত এব...

একটি ধনী ব্যক্তির গল্প

ছবি
 একটি ধনী ব্যক্তির গল্প এক খুব ধনী ব্যক্তি ছিল। সে সমুদ্রে একা ভ্রমণের জন্য একটি নৌকা ক্রয় করল।   এমন এক  ছুটির  দিনে  সে  নৌকায়  করে ভ্রমণে বের হলো। মাঝ  সমুদ্রে  যখন  তার  নৌকা পৌঁছাল, তখন প্রচণ্ড ঝড় উঠল। তার নৌকা প্রায় ডোবার উপক্রম। সে সমুদ্রে ঝাঁপ দিল এবং সাঁতার কেটে কোন রকমে প্রাণ বাঁচাতে চেষ্টা করল। কিছু দূরে সে একটি দ্বীপ দেখতে পেল। সে সেখানে পৌঁছাল। কিন্তু সেখানে কোনো মানুষজনই দেখতে পেল না। চারিদিকে যেদিকেই নজর যায়---শুধু সমুদ্র আর সমুদ্র। সে ভাবতে লাগল-জীবৎকালে আমি তো কারও ক্ষতি করিনি, তাহলে এমন কেন হলো ? পর  মূহুর্তেই  আবার  ভাবল---মৃত্যুর হাত থেকে তো ভগবানই আমাকে বাঁচিয়ে, এখানে আসা পর্যন্ত রাস্তা দেখিয়েছেন,  তাহলে  পরবর্তী  রাস্তাও অবশ্যই তিনি দেখাবেন। সে সেই  দ্বীপের  ফল,  মূল,  জল খেয়ে আশায় দিন কাটাতে লাগল। কিন্তু দিন যায়, উদ্ধারের কোনো আভাস না পাওয়ায়, ঈশ্বরের প্রতি তার ভরসা দিন-দিন কমতে লাগল। সে ভাবতে লাগল, বাকি জীবন যখন এই দ্বীপেই কাটাতে হবে, তাহলে একটা ঘর বানিয়ে-ই ফেল...

কাকে দান করবেন ............

ছবি
  কাকে দান করবেন শাস্ত্ৰে বলা হয়ে থাকে যে , দানের ফল পরকালে বর্তায়। সাধুকে কিছু দান করলে আত্মকল্যাণ হয় , অসাধুকে কিছু দান করলে নিস্ফল হয় এবং অপাত্ৰে দান করলে অমঙ্গলই লাভ হয়। এক সাত্বিক সাধু ব্যাক্তি যিনি সারাজীবন বৈদিক বিধান অনুযায়ী সাধন-ভজন করে দিনানিপাত করেছেন। একদিন প্রচন্ড শীতে মন্দিরের বাহিরে কিছু বাজার করতে গিয়েছিলেন। হটাৎ তিনি দেখলেন এক ভিখারী প্রচন্ড শীতে কাপছিল আর বলতে ছিল, ''কেউ আমাকে একটি কম্বল দিন''। সাধুর দয়া হল এবং সেই ভিখারীকে কম্বল কিনার জন্য দুইশত টাকা দান করলেন। কয়েক বছর পর সেই সাধুর মৃত্যু হলে তিনি দেখতে পেলেন যে, তার সুক্ষ্ণদেহ স্বর্গের পরিবর্তে তাকে যমালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরদিন যখন চিত্রগুপ্তের নিকট হাজির করা হল তখন সাধু চিৎকার করে এর প্রতিবাদ করতে লাগল যে, ভুল করে তাকে যমালয়ে আনা হয়েছে। কারন তিনি মর্ত্যে কখনও পাপ করেন নি। তখন চিত্রগুপ্ত ভাল করে সাধুর কৃতকর্ম ফল দেখলেন এবং বললেন যে, ''আপনি কয়েক লক্ষ জীবের হত্যার দায়ে পাপীষ্ট হয়েছেন''। কিন্তু সাধু প্রতিবাদ করতে লাগল। চিত্রগুপ্ত ব্যাপারটি বুঝতে পারলেন এবং সাধুকে বললেন যে, '...

জগন্নাথ দেবের মূর্তিতে কেন হাত নেই?জেনে নিন আসল কাহিনী.......

ছবি
  জগন্নাথ দেবের মূর্তিতে কেন হাত নেই?   জেনে নিন আসল কাহিনী....... পুরীতে গিয়ে জগন্নাথদেবের দর্শন করেননি এমন বাঙালী বোধহয় সত্যিই বিরল। শুধু বাঙালীদের কাছেই নয়, সমগ্র হিন্দুধর্মের মানুষের কাছেই পুরীর জগন্নাথের মন্দির এক অত্যন্ত পবিত্র তীর্থক্ষেত্র। হিন্দুধর্মে জগন্নাথ খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক দেবতা, নানা কারণে বিখ্যাতও বটে! এতই বিখ্যাত যে গোটা পুরী শহরই নামাঙ্কিত তাঁর নামে জগন্নাথ ধাম। পুরীর অলিতে-গলিতে জগন্নাথদেবকে নিয়ে প্রচলিত নানা কাহিনী-উপকাহিনীর খোঁজ আপনি সহজেই পাবেন। কিন্তু আজ আমরা জেনে নেব জগন্নাথ মন্দিরের মূর্তিতে কেন হাত নেই। কী সেই কারণ যার ফলে দেবমূর্তিকে অসম্পূর্ণ রেখেই তাতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হল, ব্যবস্থা করা হল পুজোর! আর কেনই বা লোকমুখে ছড়িয়ে পড়লো বহুশ্রুত সেই প্রবাদ—‘ঠুঁটো জগন্নাথ’? জগন্নাথ মন্দিরের কাহিনীঃ- হিন্দুধর্মে সাধারণত দেব-দেবীর মূর্তি বানানো হয় পাথর বা ধাতুর সাহায্যে। ব্যাতিক্রম জগন্নাথের মন্দিরে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তি তিনটি। কাঠ দিয়ে তৈরি সেগুলি। সেই নির্মাণেও যেন যত্নের বড়ই অভাব। যেন বা তাড়াহুড়ো করে অগোছালো ভাবে শেষ করা হয়েছে সেগুলিকে। কাহিনীটি...